আলোর মনি রিপোর্ট: টানা কয়েক মৌসুম ধরে ধানের সাথে পাল্লা দিয়ে খড়ও বিক্রি হচ্ছে। ধান ও খড়ের দাম মোটামুটি সন্তোষজনক। তবে ধান ও খড়ের বাজার চাঙ্গায় স্বস্তিতে লালমনিরহাটের কৃষকেরা।
লালমনিরহাটে একেবারে হঠাৎ খড় (গো-খাদ্য) বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। মাত্র এক সপ্তাহ আগেও ১হাজার খড়ের আঁটির মূল্য ছিল ৫হাজার থেকে ৬হাজার টাকা।
সে খড়ের মূল্য বর্তমান বাজার ৭হাজারে গিয়ে ঠেঁকেছে। প্রতি পিস খড় আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৭টাকা করে। হঠাৎ খড়ের বাজার চাঙ্গা হওয়ায় খুশি কৃষকেরা।
লালমনিরহাটের কৃষকেরা জানিয়েছেন, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমেও এখন হঠাৎ করে খড়ের সবোর্চ্চ দাম উঠায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা কিছুটা ক্ষতি পুশিয়ে নিতে পারবে বলে আশা করছেন তারা।
এদিকে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদরসহ আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম উপজেলার গ্রামে গ্রামে প্রতিদিন খড় ক্রয় করতে ট্রাক, ভটভুটি ও টলি নিয়ে দুর-দুরান্তের থেকে চলে আসছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তারা খড় ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।
খড় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, লালমনিরহাট জেলার গো-খামারীরা খড় ক্রয় করছে। তাই খড়ের চাহিদা বেড়ে দাম হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়ে তিন-চার গুণ বেশি দিয়ে বিক্রি হচ্ছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার ফুলগাছ গ্রামের কৃষক সাহেব আলী বলেন, আমার ইরি-বোরো ধানের খড়ের ঢিপি ৭হাজার ৫শত টাকায় বিক্রি করেছি। আর যে খড় রয়েছে তা দিয়ে নিজের গরুর চাহিদা পূরণ হবে।
মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের নওদাবস গ্রামের জাহাঙ্গীর বলেন, বিগত আমন মৌসুমের সকল খড়ের আঁটি জমা রয়েছে। যা দিয়ে ৩টি চৌয়ারি ঘর তৈরি করেছি। এতে বৃষ্টিতেও আঁটি নষ্ট হবে না। ভালো দাম পেলে বিক্রি করবো।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুলতান সেলিম বলেন, ধান চাষ করে খড়ে বাড়তি লাভ হয় কৃষকের। ধানের দামের পাশাপাশি খড়ের বাজার চাঙ্গা থাকায় স্বস্তিতে কৃষকেরা।